চকরিয়া নিউজ ডেস্ক :::
মওলানা শফিউল আলম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তারই জন্মদাতা বয়োবৃদ্ধ মা ও বাবা। মাদ্রাসা শিক্ষার সনদ নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষকের মর্যাদাধারী এই শিক্ষক তার বৃদ্ধা মা গোলজার বেগমকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেন। মাওলানা পুত্রের কবল থেকে নিজের স্ত্রীকে উদ্ধারে গিয়ে পিতাও পুত্রের মারে আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় কক্সবাজারের রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহজাহান আলী জরুরি ভিত্তিতে ‘অধম’ পুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউএনওর নিকট প্রদত্ত অভিযোগে হতভাগী মা গোলজার বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর প্রথম পুত্র মাওলানা শফিউল আলম দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ আলাদা ভাবে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ধোয়া পালং আল ফুয়াদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপশি ধোয়া পালং রাস্তার মাথা স্টেশনে ওষুধের দোকানের ব্যবসাও করে।
এ প্রসঙ্গে খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ বলেন, ‘এটা একটা জঘন্য ঘটনা। মাওলানা শিক্ষক যেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াবে মা-বাবাকে সম্মান করতে- উল্টো সেখানে সেই শিক্ষকই মা-বাবাকে মারধর করছে।’
পাঠকের মতামত: